এইচ এম রিয়াজ, পেকুয়া :::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার ফাঁশিয়াখালী-জালিয়াকাটা এবং রাজাখালীর ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্যস্তময় খালটি এখন ভরাট হয়ে দিন দিন দখলে যাচ্ছে ভূমি দস্যুদের কবলে। অন্যদিকে এর নাব্যতা হারিয়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে নৌচলাচল।
শুষ্ক মৌসূমে দেখতে মনে হয় এযেন এক ছোটকাট নালা কিংবা ড্রেন। ফলে সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছে লবন ব্যবসায়ী ও বোট মালিকরা। ব্যাহত হচ্ছে পানি চলাচল, বিনষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। আর এর সুবাধে খালের দু’পাশ দিয়ে দিন দিন জেগে উঠা চর জমি দখলে নিতে সক্রিয়রুপে থেমে নেই ভূমি দস্যুরাও। আবার বর্ষায় পূর্ণিমা জোয়ার ও ভারী বৃষ্টিপাত হলে চরাঞ্চলের বাড়ি-ঘড় ডুবে গিয়ে বেড়িবাঁধও অতিক্রম করে এ খালের পানি।
সরেজমিনে দেখাযায়, অন্তত পনের-বিশ (১৫-২০) ফুট চেয়ে বেশি প্রস্থ এবং ১০ ফুটেরও অধিক গভীরতম খালটি এখন ভরাট হয়ে এতই ছোট হয়েগেছে যে, দেখলে মনে হয় এযেন এক ছোটখাটো নালা। বোট সাম্পান চলা তো দুরের কথা কোন নৌকা পর্যন্তও এখন চলাচল করতে পারে না। নেই জোয়ারভাটার তেমন কোন স্রুত। অনেক স্থানে খালের পাশে জেগে উঠা নতুন চরে বড় বড় বিটে-বাড়ি তৈরী করে নিচ্ছে স্থানীয় ভূমি দস্যুরা। খালটির প্রবেশ মুখ মাতামুহুরি নদীর শাখা পেকুয়া ভোলা খালের সাথে। বুধামাঝিরঘোনা তথা ফাঁশিয়াখালী-জালিয়াকাটা দিয়ে প্রবেশ করে রাজাখালী, বারবাকিয়া এবং টৈইটং ইউনিয়নের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাঁশখালীর ছনুয়া খাল দিয়ে একেবারে কুতুবদিয়া চ্যানেলের সাথে মিশে গেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ভরাট হয়েছে বুধামাঝিরঘোনার প্রবেশ মুখ থেকে নোয়াখালীপাড়া ওয়াফদা কালবার্ট পর্যন্ত।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, খালটিতে পাঁচ-ছয় বছর আগেও দৈনন্দিন নিয়মিতভাবে বড় বড় লবন বুঝায় বোট এবং ট্রলার সহ ছোটবড় অনেক নৌকা সাম্পান চলাচল করত, কিন্তু এখন খালটি ভরে যাওয়াতে একেবারেই চলতে পারেনা কোন ধরনের নৌযান।
স্থানীয় কয়েকজন লবন ব্যাবসায়ী ও বোট মালিকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, তারা এখন নিজস্ব লবন বাহী বোট সাম্পান এ পথ দিয়ে নিতে পারেনা, মাঝেমধ্যে পারলেও তা খুব কষ্টসাধ্য করে পূ্র্ণ জোয়ারের সময়। তারা আরো জানান, আগে এ পথ দিয়ে অনেক মালবাহী বোট সাম্পান প্রতিনিয়ত খুব সহজেই চট্রগ্রাম শহরে যাথায়েত করলেও বর্তমানে খালটি ভরে যাওয়ায় তা সম্পূর্ণ অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে।
তাই এলাকা বাসির দাবী, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং উপজেলা প্রশাসন যদি দ্রুত খালটির খনন না করে এবং এর দখল হওয়া দু’পাশের চর সমূহ ফিরিয়ে না নেয় তাহলে অতিসত্বর এ খালটি আসতে ভরাট হয়ে সম্পূর্ণ ভাবে বিলীন হয়ে যাবে। ফলে পানি চলাচল বন্ধ হলে মারাত্মক বন্যার সম্মুখীন হতে পারে এ অঞ্চলের লাখো মানুষ।
প্রকাশ:
২০১৭-০১-২৬ ০৩:৪৭:২৩
আপডেট:২০১৭-০১-২৬ ০৩:৪৭:২৩
- চকরিয়ায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
- ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে চকরিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাথে একটেবিলে বসতে চায়
- চকরিয়ায় চিংড়িঘের দখল নিয়ে দু-গ্রুপে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১, অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসী আটক
- চকরিয়ায় পৌরশহরের তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান
- কিশলয় শিক্ষা নিকেতন স্কুলে বিলুপ্ত কমিটির স্বাক্ষর নিয়ে বিল ভাউচার করার অভিযোগ
- শীতের কম্বল দিতে বেড়িয়ে পড়েন চকরিয়ার মানবিক ইউএনও আতিকুর রহমান
- চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি মেম্বারসহ আহত ৪
- কক্সবাজার সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকতার চৌধুরী
- পেকুয়ায় রব্বত আলী পাড়া সড়কে গাড়ি চলে না ২০ বছর!
- চকরিয়ায় বাস চাপায় বৃদ্ধ নিহত
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণরর মামলার অন্যতম আসামি ফারুককে গ্রেফতার করেছে র্যাব
- জমজম হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ডাক্তারের বক্তব্য
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ কিশোরী ধর্ষণকাণ্ডে ৭ জন গ্রেফতার, ৩ জন জেলহাজতে
- চকরিয়ায় পৌরশহরের তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান
- খুটাখালীতে শতাধিক পরিবারে শীতবস্ত্র বিতরণ
- সঙ্গী হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত চকরিয়ায়
- শীতের কম্বল দিতে বেড়িয়ে পড়েন চকরিয়ার মানবিক ইউএনও আতিকুর রহমান
- পেকুয়ায় রব্বত আলী পাড়া সড়কে গাড়ি চলে না ২০ বছর!
- চকরিয়ায় রেল স্টেশন মাস্টারকে ছুরিকাঘাত করেছে দুবৃর্ত্তরা
- কিশলয় শিক্ষা নিকেতন স্কুলে বিলুপ্ত কমিটির স্বাক্ষর নিয়ে বিল ভাউচার করার অভিযোগ
- ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে চকরিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাথে একটেবিলে বসতে চায়
- চকরিয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের উদোগে নৌযান মালিক ও সারেং দের নিয়ে কর্মশালা
পাঠকের মতামত: